জামিন পাওয়ার পরও রিজভীকে মুক্তি না দেয়া সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ"
প্রথম নিউজ, নিজস্ব প্রতিবেদক :বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, সকল মামলায় জামিন থাকলেও অন্যায়ভাবে ঠুনকো কারনে তাঁকে ঈদের আগে মুক্তি দেওয়া হয় নাই। এটা সরকারের কর্তৃত্ববাদী প্রতিহিংসার রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, রিজভী আহমেদ শারীরিকভাবে অসুস্থ। কারাগারে তাঁকে সু-চিকিৎসা দেওয়া হয় নাই। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বার বার তাঁকে বিশেষায়িত কোন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়ার আহবান করা হলেও সরকার তা করে নাই। বারবার তাকে মুক্তি দেয়ার দাবী করা হলেও ফ্যাসিবাদী সরকার মুক্তি দেয় নাই।
রবিবার দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ঈদের আগের রাতেও গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০ এপ্রিল রাতে তারাবি নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর ওয়ারী থেকে স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনকে পুলিশ বিনাকারনে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গত ১০ এপ্রিল আছরের নামাজের পর বাড্ডা থেকে সাদা পোষাকধারীরা জিয়া মঞ্চের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়ালকে তুলে নেয়। এখন পর্যন্ত তাঁর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর আগেও সাদা পোষাকধারীরা একইভাবে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের গুম করেছে। পরবর্তীতে তাঁদের অনেকেরই কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক-শিরিন সুলতানা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক-ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) খোন্দকার মাশুকুর রহমান, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক-মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক-এড. জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান প্রমুখ।