ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত উত্তরের জনজীবন

ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটেখাওয়া মানুষজন।

ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত উত্তরের জনজীবন

প্রথম নিউজ, দিনাজপুর: ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের জনপথ। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাস্তায় মানুষের চলাচল একবারেই সীমিত। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথে-ঘাটে।

ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটেখাওয়া মানুষজন।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, আজ শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। জেলায় চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এ ছাড়া জানুয়ারি মাসে এই জেলার ওপর দিয়ে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।

দিনাজপুর-পার্বতীপুর রোডের ট্রাক চালক আতা মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোর থেকে ঘনকুয়ায়াশ ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক ২০ ফিট দূরত্বের মধ্যে বোঝা যায় না সামনে থেকে গাড়ি আসছে কি না। এজন্য ফুল হেড লাইট জ্বালিয়ে ধিরে ধিরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। না হলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বড় গ্রামের ইট ভাটার শ্রমিক রহিম সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই দিন ধরি ভাটায় যাইনি। পানির মতো শীত পড়ছে, আর ঘন কুয়াশা বাতাসের কারণে বাসায় বসে আছি। কজে গেলে ঠান্ডায় হাত-পা কোকড়া নাগি যাছে।

অটো চালক সুজন ইসলাম বলেন, ঘনকুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না। সকাল সাতটা পার হয়ে গেল এখনও একটা ভাড়া পাইনি। আগে দিনে সাত থেকে আটশ টাকা আয় হতো অটো চালিয়ে। এখন চার থেকে পাঁচশ টাকা আয় হয় না। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে, একদিকে আয় কম অন্যদিকে বাজারের সব জিনিসের দাম বেশি।

এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ দ্বিগুণ বেড়েছে। জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শনিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৬ ভাগ। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এ ছাড়া জানুয়ারি মাসে এই জেলার ওপর দিয়ে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom