গাঁজা বিক্রিকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ২ সদস্য আটক

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বরিশাল নগরের পলাশপুরের মোহাম্মদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের এসআই ওবায়েদুল্লাহ খান ও সিপাহি মো. সবুর।

গাঁজা বিক্রিকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ২ সদস্য আটক

প্রথম নিউজ, বরিশাল: মাদক কারবারির কাছে গাঁজা বিক্রি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) এক কর্মকর্তা ও এক সদস্য। পরে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বরিশাল নগরের পলাশপুরের মোহাম্মদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের এসআই ওবায়েদুল্লাহ খান ও সিপাহি মো. সবুর।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বি.এম আশরাফ উল্যাহ তাহের। তিনি বলেন, সকালে আমাদের কাউনিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা জানতে পারে পলাশপুর কলোনির স্থানীয় জনতা ৫ নম্বর গলিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুজন সদস্যকে আটকে রেখেছে এবং সেখানে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা সেখানে পৌঁছেছে।

তিনি আরও বলেন, কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ও পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে, অধিদপ্তরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের এসআই ওবায়েদুল্লাহ খান ও সিপাহী মো. সবুর সকালে মোটরসাইকেলযোগে সিভিল পোশাকে পলাশপুর যান। তার বিক্রির জন্য আনুমানিক দেড় কেজি গাঁজা নিয়ে স্থানীয় মাদক কারবারি সোহাগ ওরফে কানা সোহাগের কাছে যান।

স্থানীয়দের বরাতে আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, এরআগেও আটকরা পলাশপুরের মাদক কারবারিদের সঙ্গে মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিল। স্থানীয়রা জানতে পেরে সকাল ৬টার দিকে গাঁজা বিক্রির সময় তাদের আটক করে।

পরে র‌্যাব ও থানা পুলিশের সদস্যরা ওই দুইজনকে জনতার কাছ থেকে বুঝে নিয়ে কাউনিয়া থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, র‌্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে মোহাম্মদপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে পলাশপুর ও মোহাম্মদপুরের মাদক কারবারিদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এর সূত্র ধরে অধিদপ্তরের কয়েকজন তাদের সঙ্গে মাদক সংক্রান্ত লেনদেনও করে। অথচ তল্লাশির নামে এখানেই সাধারণ মানুষকে অধিদপ্তরের সদস্যরা হয়রানি করতো। এ নিয়ে নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। তবে এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেউ গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।