কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল চান ড. জাহিদ হোসেন

নতুন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের প্রতি কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল চেয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।

কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল চান ড. জাহিদ হোসেন

প্রথম নিউজ, অনলাইন: কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছিল এ বছরের জুনে। জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় অর্থনীতি নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিবে অন্তবর্তীকালীন সরকার। নতুন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের প্রতি কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল চেয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। কালোটাকার মালিকরা আয়ের উৎস সম্পর্কে প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়েই তাদের অঘোষিত সম্পদকে বৈধ করার সুযোগ পাচ্ছে এখন।  এই উদ্যোগকে নেতিবাচক হিসেবেই দেখে আসছেন অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ড. জাহিদ বলেন, ‘কালোটাকা সাদা করার যেই সুযোগটি এ অর্থবছরের বাজেটে দেওয়া আছে, সেটি বাতিল করা হোক।  সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ আয়করের সঙ্গে ৫ থেকে ১০ শতাংশ জরিমানা যোগ করে সীমিত সময়ের (তিন থেকে ছয় মাস) জন্য এ সুযোগ পুনর্বহাল করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। অর্থ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি শুধু অর্থনীতির বিষয় না, এটা নৈতিকতারও বিষয়।  নৈতিক কারণেও এই সুযোগ দেওয়া উচিত নয় মনে করেন অনেকে। এর আগেও তো বিভিন্ন সরকার এই সুযোগ দিয়েছিল।  কিন্তু তাতেও অর্থনীতির কোনো অগ্রগতি হয়নি। 

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে তিনি  বলেন, ‘১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ শুধু সৎ করদাতাদের প্রতি অবিচার নয়, বরং এর মধ্য দিয়ে মানুষকে অসৎ হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়। তার মতে, সর্বোচ্চ করহারের সঙ্গে জরিমানা দিয়ে সীমিত সময়ের জন্য এ সুযোগ রাখা যেতে পারে’৷ 

ড. জাহিদ আরও বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে কর ফাঁকির জন্য জরিমানার সঙ্গে জেলও খাটতে হয়’। কালোটাকা সাদা করার এ ধরনের সুবিধা সৎ করদাতাদের প্রতি অবিচার বলেও তিনি উল্লেখ করেন।