প্রথম নিউজ, অনলাইন : কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি, গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও হেলিকপ্টার থেকে ‘আত্মঘাতী হামলার’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে ‘গণহত্যা’ সরকারের ইঙ্গিতেই হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে জাগপা ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, হাজী মো. হাসমত উল্লাহ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন, আসাদুজ্জামান বাবুল, মহানগর সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মো. সিরাজুল ইসলাম, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার প্রমূখ।
রাশেদ প্রধান বলেন, ‘সরকারি ও দলীয় বাহিনী দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস গণহত্যা চালিয়ে নিজেদের রক্ষার্থে কারফিউ দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়! ফ্যাসিস্ট ও খুনি আওয়ামী লীগ সরকার গণহত্যার লাশের হিসাব গায়েব করার জন্য সরকারি স্থাপনায় নিজেরা (আ’লীগ) আগুন দিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য বিএনপি, জামায়াত, ১২ দলীয় জোট, বিজেপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নাটক শুরু করেছে।’
‘শুধু তাই নয়! কোটাবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যা নিয়ে সরকার জঘন্য মিথ্যাচার করছে। সরকার মূলত কূটনীতিকদের বিভিন্ন স্থাপনার ধ্বংসযজ্ঞ দেখিয়ে লাশের সঠিক পরিসংখ্যান এড়িয়ে গেছেন’ বলেন ১২ দলীয় জোটের এই নেত।
সারাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে রাশেদ আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ‘‘দেখা মাত্র গুলি’’ করে গণহত্যার হুকুমের আসামি করে গ্রেফতার করতে হবে।’
রাশেদ প্রধান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাককে স্বাগতম এবং সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার রক্ষার প্রয়োজনে বিএনপি ঘোষিত ‘‘জাতীয় ঐক্য’’ ঐতিহাসিক মাইলফলক হয়ে থাকবে। ইনশাআল্লাহ মজলুম জনগণ অচিরেই বিজয় লাভ করবে।’