সার্চ কমিটি সরকারের প্রজেক্ট, সরকারের পতন করতে হবে : নুর
আমাদের একদফা দাবি, এই সরকারের পতন করতে হবে। আমাদের একটি জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, সার্চ কমিটি, নির্বাচন কমিশন সরকারের এসব প্রজেক্টে সময় নষ্ট করে আমাদের মনে হয় কোনো লাভ হবে না। আমাদের একদফা দাবি, এই সরকারের পতন করতে হবে। আমাদের একটি জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, জাতীয় সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবিতেই আমাদের অটুট থেকে পাড়া মহল্লায় বার্তাটা পৌঁছে দিতে হবে। কোনো দল বা ব্যক্তি বিষয় নয়। এখানে যারা কাজ করছে তাদের সমর্থন দিতে হবে।
জাতীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সংকটে জাফরুল্লাহ স্যারদের মাধ্যমে একটা ভূমিকা নেওয়া উচিত। তাই এখানে যারা আছেন তাদের আহ্বান জানাব, আপনারা একটি পদক্ষেপ নিন। একটি জাতীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার। শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন হলেই হবে না। প্রশাসন বা সব ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার। জাতীয় সরকার গঠন করে এই পরিবর্তন করা যায়।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো জনমানুষের একটি দল আজ দুর্বৃত্তদের দলে পরিণত হয়েছে। গুম, খুন, হত্যার রাজনীতি করছে। ৮৬ জনের অবস্থান নিয়ে জাতিসংঘের গুম নিয়ে কাজ করা টিম এদেশে আসতে চায়। ২০১৩ সাল থেকে তারা বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে, আসতে দেওয়া হচ্ছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে ভিপি নুর বলেন, গুম হওয়া ব্যক্তিরা যদি ভূমধ্যসাগরে চলেই যায়, তাহলেও জানান তারা মারা গেছেন না বেঁচে আছেন। নয়তো আপনাদের অবস্থাও বাবরের (সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) মতো হবে।
ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের বিষয়ে নুর বলেন, সম্মেলনটি রাজনৈতিক দলের কোনো সম্মেলন ছিল না। এটি ছিল জাতি, ধর্ম, বর্ণ সবার। এই সম্মেলনে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাহিত্যিক মানুষও অংশ নেয়। ভাসানী জনগণের নেতাই নন, একটি আধ্যাত্মিক মানসিকতাও ছিল তার। তিনি আওয়ামী লীগ, ইত্তেফাকের মতো প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য আন্দোলন করেন আবার বঙ্গবন্ধুর শাসনের সময় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেন। তিনি বলেন, মাওলানা ভাসানী ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। আজ সেটাই আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি না।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: