সিঙ্গাপুরের ধনীদের তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে ৪১তম আজিজ খান

গত বছর তিনি ছিলেন ৪২তম অবস্থানে। ফোর্বস জানিয়েছে, মুহাম্মদ আজিজ খানের মোট সম্পদের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার।

সিঙ্গাপুরের ধনীদের তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে ৪১তম আজিজ খান

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: আবারো সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের মুহাম্মদ আজিজ খান। বুধবার ফোর্বস ম্যাগাজিনে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায় ৪১তম অবস্থানে রয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান। গত বছর তিনি ছিলেন ৪২তম অবস্থানে। ফোর্বস জানিয়েছে, মুহাম্মদ আজিজ খানের মোট সম্পদের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার। এর আগে গত বছরও সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে তার সম্পদ ১০০ কোটি ডলার ছিল বলে জানায় ফোর্বস। সে হিসেবে তার সম্পদ এক বছরে ১০ কোটি ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি এক বছরে তিনি ৪২তম স্থান থেকে তালিকায় ৪১তম স্থানে উঠে এসেছেন। 

এদিকে সিঙ্গাপুরের বাইরে অর্থাৎ গোটা বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় মুহাম্মদ আজিজ খানের অবস্থান ২৫৪০তম। ২০২১ সালে আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৯ কোটি ডলার। ২০১৯ সাল থেকে তার সম্পদের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০২২ সালে তার সম্পদের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। ফলে তিনি প্রথমবারের মতো ‘ফোর্বস’-এর বিলিয়নিয়ারের তালিকায় স্থান পান। ম্যাগাজিনটি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে মুহাম্মদ আজিজ খান জাপানি প্রতিষ্ঠান জেরার কাছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার ৩৩ কোটি ডলারে বিক্রি করে দেন। সেই বিক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে তখন সামিট পাওয়ারের বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশের নাগরিক ৬৮ বছর বয়সী আজিজ খান এক যুগের বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস ও আবাসন খাতের ব্যবসা আছে সামিট গ্রুপের এবং তাদের সব সম্পদ বাংলাদেশেই রয়েছে। সামিটের অধীন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতের যত ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর হোল্ডিং কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল। এই কোম্পানি সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। সে জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও এ কোম্পানির সম্পদের হিসাব করা হয় সিঙ্গাপুরে। ‘ফোর্বস’ জানাচ্ছে, মুহাম্মদ আজিজ খানের কন্যা আয়েশা খান বর্তমানে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল পরিচালনা করেন। ফোর্বস আজিজ খানের পরিচয়ে লিখেছেন, তিনি তিন সন্তানের পিতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে তিনি মাস্টার্স করেছেন।