দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে সরকার: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মতো নেতাকে জেলে ঢুকিয়ে যে রাজনৈতিক অপচিন্তা করছে সরকার, এটি জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টার একটি অবৈধ প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যাওয়া ও টিকে থাকতে চায়; কিন্তু সেটি তো সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা বার্তা দিয়েছে যে, যারা দেয়ালের লিখন পড়তে পারছে না তাদের জন্য আগামী দিনগুলো খুব কঠিন হবে। এ সময় তিনি অবিলম্বে রিজভীর মুক্তি দাবি করেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মতো নেতাকে জেলে ঢুকিয়ে যে রাজনৈতিক অপচিন্তা করছে সরকার, এটি জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টার একটি অবৈধ প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যাওয়া ও টিকে থাকতে চায়; কিন্তু সেটি তো সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা বার্তা দিয়েছে যে, যারা দেয়ালের লিখন পড়তে পারছে না তাদের জন্য আগামী দিনগুলো খুব কঠিন হবে। এ সময় তিনি অবিলম্বে রিজভীর মুক্তি দাবি করেন। রোববার বিকালে রাজধানীর আদাবরে রুহুল কবির রিজভীর বাসায় যান আমীর খসরু। পরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভীর আদাবরের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী আরজুমান আরা বেগমের সঙ্গে কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি রিজভীর বিষয়ে খোঁজখবর নেন। আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে রিজভী এমন একজন নেতা, যার সততা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। তার রাজনীতি প্রজ্ঞা, শিক্ষা, সাহস নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। তার মতো নেতাকে জেলে নিয়ে অপসংস্কৃতির রাজনীতির চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি কিন্তু ভবিষ্যতে রাজনীতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। তিনি বলেন, রিজভীর দরকার উন্নত চিকিৎসা। উন্নত চিকিৎসা ছাড়া তার আগামীর দিনগুলো তো আরও বিষণ্ন হবে। কঠিন সময়ের মধ্যে সে অতিক্রম করছে। এগুলো দেশের সাংবিধানিক পরিপন্থি কাজ।
রিজভীর মামলা নিয়ে প্রশ্ন করলে তার স্ত্রী আরজুমান আরা বলেন, মামলার সঠিক সংখ্যা জানা নেই। যেদিনই তাকে জামিনের জন্য কোর্টে নিয়ে আসা হচ্ছে, সেদিনই তাকে একটা না একটা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, রিজভীর বিরুদ্ধে যতগুলো জানা মামলা আছে, তার চাইতে কত যে অজানা মামলা আছে তা কেউ জানে না। সরকার সেগুলো প্রয়োজন মতো বের করছে আর সাবমিট করছে। অর্থাৎ জেল থেকে তিনি যাতে বের হতে না পারেন সেই বিষয়ে যেসব পন্থা অবলম্বন করা দরকার, সরকার তাই করছে।
রিজভীর স্ত্রী বলেন, তার (রিজভীর) সুচিকিৎসা হওয়া দরকার। তার কোভিডের কারণে নার্ভের অবস্থা ভীষণ খারাপ। হার্টের রোগী। সব ডাক্তারি সার্টিফিকেট কোর্টে দিয়েছি। তারপরও কোর্ট এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি। তাকে কোনো একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চেকআপ করা দরকার। তা না হলে ওর শরীরটা আরও খারাপ হয়ে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, জাসাসের আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদ আউয়াল, সামাজিক মাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক আপেল মাহমুদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, ঢাবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই দিনই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। সেদিন রুহুল কবির রিজভীকেও আটক করে কারাগারে নেওয়া হয়। সম্প্রতি তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: