দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন: ফখরুল

শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংহতি মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন: ফখরুল

প্রথম নিউজ, অনলাইন: দেশের সার্বভৌমত্ব আজকে হুমকির সম্মুখীন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংহতি মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে বড় একটা সঙ্কটের মধ্যে উপস্থিত হয়েছে। একদিকে গণতন্ত্র নেই, অন্যদিকে দেশের যে সার্বভৌমত্ব, সেই সার্বভৌমত্ব আজকে হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এখন যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, যেটা আমরা মনে করেছি- গণতন্ত্রের জন্য যিনি সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যিনি এখনো আটক অবস্থায় আছেন। যিনি জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই ও সংগ্রাম করছেন, সেই নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একটা আন্দোলন জরুরি। এটাকে আমি আলাদা করে দেখতে চাই না। গণতন্ত্রের আন্দোলনের সঙ্গে এটা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা সবাই জানেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। শনিবার আমাদের একটা কর্মসূচি আছে। তার মুক্তির জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। অতি শিগগির তার মুক্তির জন্য আমরা যারা একসঙ্গে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি, তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্টকে সরিয়ে জনগণের একটা রাষ্ট্র নির্মাণ করার জন্য আমরা সফল হবো।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রেক্ষাপট তুলে তিনি আরও বলেন, আজকের শাসকগোষ্ঠী কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। তাদের কারণেই আজকে সেটা প্রচণ্ডভাবে ব্যাহত হয়েছে। আবারও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশকে আবারও অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঢেলে দেয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া এখনো চলছে। এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে এসে পৌঁছেছে, যেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

যুগপৎ আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বড় রাজনৈতিক দলগুলো এক মঞ্চে উঠতে না পারলেও যুগপৎভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তকে আমি মনে করি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটা একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আমরা এই আন্দোলনে অবশ্যই সফল হবো। জনগণের পক্ষে, সত্যের পক্ষে এবং ন্যায়ের পক্ষে এবং রাষ্ট্র ও সমাজকে রক্ষা করবার যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হবে না।