ত্রিভুজ প্রেমের বলি যুবলীগ সদস্য মিরাজ
প্রেম ঘটিত দ্বন্দ্বে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুন হন মিরাজ।
প্রথম নিউজ, বগুড়া: বিয়ের দিন তারিখ ঠিক। পরিবার থেকে মেয়েও দেখা হয়েছে। আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিয়ে। কিন্তু কপালে সেই বিয়ে আর জুটলো না মিরাজের। প্রেম ঘটিত দ্বন্দ্বে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুন হন মিরাজ। বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে মিরাজ আলী (১৮) পৌরপার্কে প্রেমিকার নতুন প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান। মিরাজ আলী পেশায় একজন মোটর মেকানিক। তিনি বগুড়া পৌরসভার ২ নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগ সদস্য। মিরাজের বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম এবং মেঝো ভাই আতাউর রহমান জানান, শহরের বাদুরতলা এলাকার এক মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল মিরাজের।
একপর্যায়ে মেয়েটি মিরাজের সাথে সম্পর্ক ভেঙে গাবতলী উপজেলার এক ছেলের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারপর থেকে সেই ছেলেটি ফেসবুক ও মুঠোফোনে বারবার মিরাজকে হুমকি দিয়ে আসছিলো। যে মেয়েটির সাথে মিরাজের সম্পর্ক ছিল তার নতুন প্রেমিক পার্কে মীমাংসার জন্য মিরাজকে ডেকেছিলো। মিরাজ ও তার বন্ধু নাজমুল সেখানে মীমাংসার জন্য যায়। পরে অতর্কিত মিরাজের সাবেক প্রেমিকার বর্তমান প্রেমিক তার ৪ থেকে ৫ জন বন্ধুকে নিয়ে হামলা করে ও ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে মিরাজকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ডাক্তারা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যার একটু আগে তাদের ছোট ভাই মিরাজের খুনের সংবাদ পান তারা। তাদের ধারণা মিরাজের ফোনেই খুনির তথ্য পাওয়া যাবে।
মেঝো ভাই আতাউর রহমান কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, রাতে তিন ভাইয়ের এক সাথে ভাত খাওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার বিয়ের জন্য কুড়িগ্রামে যাওয়ার আয়োজন চলছে। এসব কিছু ছেড়ে অকালেই চলে যেতে হলো ভাইকে। তারা খুনের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। বগুড়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, মিরাজ তার ওয়ার্ডের যুবলীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলো। তিনিও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এ ঘটনায় মিরাজের বন্ধু মোহাম্মাদ নাজমুলও (১৮) ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। তিনিও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মিরাজের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মেডিকেলেই আছে। এবিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ত্রিভুজ প্রেমের বলি হয়েছেন মিরাজ। হত্যার সাথে জড়িতদের কাউকে এখন পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। হয়নি মামলাও।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: