গোল্ডেন মনিরের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের আবেদন
আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এ আবেদন করেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া নথি তৈরি করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগের মামলায় মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে বিচারিক আদালতের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এ আবেদন করেন।
গত ১৭ মে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান তাকে জামিন দেন। ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি মনিরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ৬ কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন─ রাজউকের উপ-পরিচালক দিদারুল আলম, অফিস সহায়ক (সাময়িক বরখাস্ত) পারভেজ চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন শরীফ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আনোয়ার হোসেন, ঊর্ধ্বতন হিসাব সহকারী এসএম তৌহিদুল ইসলাম, কার্য তদারককারী (মান-২) আলাউদ্দিন সরকার, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার প্রতাপদীর্ঘ ধামাইনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ভূঁইগড় গ্রামের নাসির উদ্দিন খান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের নির্দেশে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও রাজউক কর্মকর্তা মো. নাসিরসহ অন্যদের সহযোগিতায় রাজউক অফিস থেকে সরকারি নথিপত্র কৌশলে সরিয়ে নেন। তারা বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল তৈরি করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বেআইনিভাবে ভুয়া নথি তৈরি ও লিজ দলিল সম্পাদন করে রাজউকের বাড্ডা প্রকল্পের প্লট আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন। আসামি নাসির ও আনোয়ার হোসেন রাজউকের রেকর্ড রুম থেকে বাড্ডা পুনর্বাসন প্রকল্পের নথি গ্রহণ করে আর রেকর্ড রুমে ফেরত দেননি। নথিগুলো মুভমেন্ট রেজিস্টারের মাধ্যমে চলাচলের নিয়ম থাকলেও মুভমেন্ট রেজিস্টারে প্রেরণ না করে হাতে হাতে স্বাক্ষর করিয়েছেন। অধিকাংশ নথিতেই দায়িত্বপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন, আলাউদ্দিন সরকার, দিদারুল আলম ও নাসির উদ্দিন একই দিন স্বাক্ষর করার পর গোল্ডেন মনিরের প্ররোচনায় নথিগুলো রেকর্ড রুমে না পাঠিয়ে রাজউক এনেক্স ভবনের এ-৫১৪ নম্বর কক্ষে পাঠান।
এসএম তৌহিদুল ইসলাম রাজউকের রেকর্ড রুমের দায়িত্বে থেকে জব্দকৃত ৭০টি নথির মধ্যে রেকর্ড রুমে থাকা ৯টি নথি গোল্ডেন মনিরের কথায় এনেক্স ভবনের ওই কক্ষে প্রেরণ করেন। বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল অবৈধভাবে তৈরি করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বেআইনিভাবে ভুয়া নথি তৈরি করে ও লিজ দলিল সম্পাদন করে রাজউকের বাড্ডা প্রকল্পের প্লট আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন। দণ্ডবিধির ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/৫১১/১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।