গম্ভীরের সঙ্গে বিবাদে নতুন মাত্রা দিলেন কোহলি

ভারতীয় ক্রিকেটে যেন গ্রীষ্মের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের মধ্যকার বিবাদ

গম্ভীরের সঙ্গে বিবাদে নতুন মাত্রা দিলেন কোহলি

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেটে যেন গ্রীষ্মের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের মধ্যকার বিবাদ। সেই উত্তাপের তেজ কমার আগেই তাতে আবারও ঘি ঢাললেন কোহলি। এই ভারতীয় ব্যাটার ছাড়াও দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররাও প্রায় নিয়মিতই এই ইস্যুতে আলোচনা জারি রেখেছেন। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ হতে চললেও, নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছেন কোহলি। বিসিসিআইকে একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি, যেখানে পুরো ম্যাচ ফি জরিমানার বিষয়টিকে তিনি অতিরিক্ত বলে উল্লেখ করেছেন!

একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। বোর্ডকে পাঠানো ওই চিঠিতে নিজের পক্ষে সাফাই গাইলেন ডান-হাতি ভারতীয় ব্যাটার। গম্ভীরের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিবাদের কারণে কোহলির এক কোটিরও বেশি টাকা জরিমানা হয়েছে। যদিও সেই টাকা তাকে বহন করতে হবে না, তার দল র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুই সেই জরিমানা মেটাবে বলে জানা যায়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন বলছে, সেই চিঠিতে কোহলি লিখেছেন নাভিন উল হক ও গম্ভীরকে তিনি এমন কিছুই বলেননি যাতে তার ম্যাচ ফির শতভাগই কেটে নেওয়া হবে। মোহাম্মদ সিরাজ বাউন্সার দেওয়ার পর নাভিনকে লক্ষ্য করে বল থ্রো করেন। ওই সময় সিরাজ-নাভিনের লড়াই চলাকালে সেখানে যান কোহলি। তবে কোহলি চিঠিতে বলেছেন, তিনি মোটেই নাভিনকে লক্ষ্য করে বল ছোড়ার নির্দেশ দেননি। স্রেফ বাউন্সার করতে বলেছিলেন।

আরেকটি সংবাদসংস্থার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, লখনৌ’র ব্যাটার কাইল মায়ার্স কোহলিকে ম্যাচের পর নাভিনের সঙ্গে সমস্যার বিষয়ে জানতে চান। কেন তিনি নাভিনকে গালাগালি করছিলেন! এরপরই নাকি কোহলির জবাব ক্ষেপিয়ে দেয় লখনৌ মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে।

ঘটনার সূত্রপাত বেঙ্গালুরু-লখনৌর ম্যাচ শেষে দু’দলের ক্রিকেটারদের হাত মেলানোর সময়। ম্যাচ চলাকালীন লখনৌয়ের উইকেট পড়ার পর নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উল্লাস করছিলেন কোহলি। এসময় লখনৌয়ের ডাগআউটের দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করে থাকার ভঙ্গি দেখান বেঙ্গালুরুর সাবেক এই অধিনায়ক। তারই জের ধরে ম্যাচ শেষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আগে থেকেই গম্ভীরের সঙ্গে থাকা কোহলির দ্বন্দ্ব এদিন নতুন করে জেগে ওঠে। সতীর্থরা এসে না সরালে এই কথা–কাটাকাটি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যেতে পারতো। মাঠে বিবাদের পর সাজঘরে ফিরেও মেজাজ চড়া ছিল কোহলির।

এরপর সেই ইস্যু ধরেই কোহলিকে টুইটারে খোঁচা দেন গম্ভীরও। অবশ্য কোহলির নাম উল্লেখ না করেই, নিজের অফিসিয়াল টুইটারে তিনি লেখেন, ‘চাপের দোহাই দিয়ে দিল্লির ক্রিকেট ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এক লোক টাকার বিনিময়ে ক্রিকেটের প্রতি চিন্তা দেখাচ্ছে। এটা কলিযুগ। এখানে পালিয়ে যাওয়া লোকেরাও নিজেদের বড়াই করে।’

বিবাদের জেরে কেবল কোহলিই নন, ম্যাচ ফির শতভাগ জরিমানা হয় গম্ভীরেরও। তবে মেন্টরও হওয়ায় কোহলির চেয়ে তার জরিমানার অঙ্ক কমই ছিল। যদিও তাদের এই শাস্তি যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন সুনীল গাভাস্কার ও বীরেন্দর শেবাগ। বিবাদে জড়িতদের ম্যাচ থেকে নিষিদ্ধ কিংবা নির্বাসনের শাস্তির দাবি জানান তারা।