এক পা জেলে রেখেই রাজনীতি করি আমরা, প্রিজন ভ্যান থেকে ইশরাক
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: ‘আমরা এক পা জেলে রেখেই রাজনীতি করি। বাংলাদেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা রাজনীতি করে যাচ্ছি। আজকে বাংলাদেশে অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। এজন্য তারা বিরোধীদলীয় নেতা কর্মীদের ওপর দমন পীড়ন চালাচ্ছে। মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাদের কারাগারে প্রেরণ করছে। গোটা বাংলাদেশকেই কারাগারে পরিণত করে রেখেছে এই অবৈধ সরকার। আজকে আমাদের জেলে ভরে গুলি করে হত্যা করছে। বাংলাদেশকে দখল করে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে রেখেছে এ সরকার।’
মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজত খানা থেকে প্রিজন ভ্যানে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি আরও বলেন, এ অবৈধ সরকার দেশের ব্যাংক খাত ধ্বংস করেছে, বিদ্যুতে সীমাহীন দুর্নীতি করছে। সর্বোপরি দেশটাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। আমরা জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করেছি এবং আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণের অধিকার আদায়ে লড়াই করে যাব। এর আগে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় জামিন বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন তিনি। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা যায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি নাশকতার ১২ মামলায় ইশরাক হোসেন উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজি এবাদত হোসেনের দ্বৈত বেঞ্চ আগাম জামিনের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, আজ ১২টি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন ইশরাক। শুনানি শেষে আদালত ১১ মামলায় তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। তবে পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবরে বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় নাশকতার অভিযোগে ১২টি মামলা দায়ের করা হয়।