এই বাজেট বে-নজির বাজেট: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ ও বিরাজমান পরিস্থিতি: অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

এই বাজেট বে-নজির বাজেট: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রথম নিউজ, অনলাইন: নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন,  প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে নিয়ম রাখা হয়েছে তা সংবিধান পরিপন্থি। এই বাজেট বে-নজির বাজেট। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ ও বিরাজমান পরিস্থিতি: অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আমরা কোথাও কোনো স্বস্তি দেখি না। চলমান সময়ে পিছিয়ে পড়া মানুষজনকে সুরক্ষা দিতে হয়। বিভিন্ন খাতে দেখা গেছে প্রস্তাবিত বাজেটে সুরক্ষার বিষয়ে আশ্বস্ত হওয়ার কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে জ্বালানি খাত, ব্যাংক খাত ও পুঁজিবাজারসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দেখা যায়নি। প্রস্তাবিত বাজেটে সুরক্ষা, স্থিতিশীলতা ও সংস্কারের বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি এবং আশ্বস্ত  হওয়ার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। 

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ঘোষিত নীতির সঙ্গে বাজেটে অন্তত পাঁচটি ক্ষেত্রে বড় ধরনের ব্যত্যয় হয়েছে। ৭ জানুয়ারিতে যে নির্বাচন প্রক্রিয়া হয়েছে, সেখানে বর্তমান শাসক দল যে ইশতেহার দিয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে তারা ইশতিহারের প্রতি বিশ্বস্ত থাকেনি। প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচনী ইশতিহারের বড় ধরনের বরখেলাপ হয়েছে। বর্তমান সরকারের যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা আছে তার সঙ্গে কিন্তু বর্তমান প্রস্তাবিত বাজেটের কৌশল এবং বরাদ্দের মিল নেই। 

বর্তমান সরকারের যে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা প্রস্তাবিত বাজেটে মেলানো হয়নি। তিনি বলেন,  প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব নীতি ও অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছিল তার সঙ্গে বাজেটের বরাদ্দ মিলে না। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয় দেখলে বোঝা যায় সাধারণ মানুষের নয় ব্যক্তি বিশেষের সুবিধা দেয়া হয়েছে।

এর আগে সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান ব্রিফিংয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাশরুর রিয়াজ প্রমুখ।