ইয়াবা দিয়ে ইউপি সদস্যকে ফাঁসানোর অভিযোগ
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে হোয়াইক্যং নয়াবাজার স্টেশনে বাদশা মিয়ার অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি করেন।
প্রথম নিউজ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাদশা মিয়াকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী জুলেখা আক্তার। নয়া বাজার স্টেশনে বাদশা মিয়া মেম্বারের সেমিপাকা অফিস কক্ষের পেছনের টিনের ফাঁক দিয়ে ইয়াবা ঢুকিয়ে প্রতিপক্ষ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরকে দিয়ে তাকে আটক করা হয়।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে হোয়াইক্যং নয়াবাজার স্টেশনে বাদশা মিয়ার অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি করেন।
স্ত্রী জুলেখা আক্তার বলেন, আমার স্বামী আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু করে বর্তমানে যুবলীগে সক্রিয়। ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে নির্বাচনে পরাজিত শক্তি বাদশা মিয়াকে ঘায়েল করতে তৎপর থাকেন। তিনি বলেন, বাদশা মিয়ার নয়াবাজারের অফিসের পেছনের অংশে টিনের ফাঁক দিয়ে যে কোনো কিছু ঢুকানোর সুযোগ আছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষ ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লোকজন এনে মেম্বারকে পরিকল্পিত ভাবে ধরিয়ে দেন।
জুলেখা আক্তার বলেন, ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাসা থেকে বেরিয়ে বাদশা মিয়া মাগরিবের নামাজ পড়তে হোয়াইক্যং নয়াবাজার স্টেশন জামে মসজিদের পুকুরে ওজু করেন। মসজিদে ঢুকার আগমুহূর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কক্সবাজার অঞ্চলের কর্মকর্তাসহ অন্যরা মেম্বার সাহেবের সঙ্গে একটু কথা আছে বলে অফিসের সামনে নিয়ে যান। তখনও অফিস বন্ধ ছিল বিধায় ফোন করে পিওনকে ডেকে এনে তালা খুলে সবাইকে বসতে বলেন তিনি।
এরপর মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লোকজন বলে উঠেন- অফিসে ইয়াবা মজুদ আছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় জনগণ জড়ো হন অফিসে। মাদকের কর্মকর্তাদের কথায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় বাদশা মিয়া অফিসের সব ড্রয়ার এবং আসবাব খুলে দেখান। কোথাও কিছু না পাওয়ায় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আসা একজন হঠাৎ বলে উঠেন ফলস সিলিংয়ের ওপর পশ্চিম কোণায় আছে। সেখান হতে কিছু ইয়াবা পেয়েছে উল্লেখ করে তারা মেম্বারকে নিয়ে যান।
জুলেখা আক্তারের দাবি, কেউ তার অনৈতিক ব্যবসার মালামাল জনকোলাহল মুখর এলাকায় রাখবে এটা পাগলও বিশ্বাস করবে না। তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সরকারের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবার কাছে আকুল আবেদন- ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয়টি উদঘাটন করা হউক। পাশাপাশি নিরপরাধ বাদশা মেম্বারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাদশা মেম্বারের মা রাশেদা বেগম, বাবা নুর হোসেন, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মইনুল হোসেন চৌধুরী, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল গাফ্ফার, স্থানীয় সমাজ সেবক আব্দুস সামাদসহ এলাকার মুরব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews