অভিজ্ঞতা না থাকলে অনুমতি পাবে না বিদেশি পর্যবেক্ষক
বিদেশি পর্যবেক্ষক বা গণমাধ্যমকর্মীদের যোগ্যতা, করণীয়, ভিসা প্রক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে নীতিমালায়।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বা উপকরণ শুল্কমুক্তভাবে আনার সুযোগ সৃষ্টি করে বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা সংশোধনের পর তা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। নীতিমালা অনুযায়ী,কেবলমাত্র অভিজ্ঞরাই পাবেন ভোট পর্যবেক্ষণের সুযোগ। গতকাল এই নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। বিদেশি পর্যবেক্ষক বা গণমাধ্যমকর্মীদের যোগ্যতা, করণীয়, ভিসা প্রক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে নীতিমালায়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, পর্যবেক্ষক সংস্থার নির্বাচনী কাজ, সুশাসন, গণতন্ত্র, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সম্পর্কিত কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে এবং তার প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে। বাংলাদেশের নির্বাচনী আইন মেনে চলতে হবে। নির্বাচনী অপরাধ কিংবা জাল-জালিয়াতি বা অসততাজনিত কোনো অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি পর্যবেক্ষক হওয়ার অযোগ্য হবেন।
নীতিমালায় পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব হিসেবে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রতিবেদন ভোটের দিন থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ই-মেইল বা ডাকযোগে পাঠাবে। এক্ষেত্রে প্রতিবেদনে ভোটের আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরের পরিস্থিতির প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। নির্বাচনী অনিয়মের ওপর প্রতিবেদন হতে হবে। পর্যবেক্ষণ হতে হবে পক্ষপাতহীন, ফলপ্রসূ ও সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন।
ভোটগণনার সময় থাকার জন্য প্রতিটি সংস্থা থেকে একজন মনোনয়ন দেয়া যাবে। বিদেশি গণমাধ্যমকেও পর্যবেক্ষকদের সব নিয়ম মেনে চলতে হবে। বিদেশি গণমাধ্যমকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার জন্য এবং সমপ্রচার করার জন্য আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন একটি মিডিয়া সেন্টার স্থাপন করবে তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়। পর্যবেক্ষকদের সহায়তার জন্য এয়ারপোর্ট হেল্প ডেস্ক থাকবে। মিডিয়া সেন্টারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের পর্যবেক্ষক কার্ড, গাড়ির স্টিকার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেয়া হবে। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করলে, পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে, পর্যবেক্ষক বা বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীর কার্ড বাতিল করা যাবে। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তাও সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক বা গণমাধ্যমকর্মীকে ভোটকেন্দ্র বা পুরো আসন থেকে বহিষ্কার করতে পারবে।
ভোটে ‘সীমিত পর্যায়ে’ মোটরসাইকেল ব্যবহার করা যাবে: এদিকে নানা আলোচনা-সমালোচনার পর নির্বাচনী কাজে ‘সীমিত পর্যায়ে’ মোটরসাইকেল ব্যবহারে সাংবাদিকদের অনুমোদন দিলো নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। গতকাল আগের নীতিমালায় সংশোধন এনে এমন নির্দেশনা জারি করে সংস্থাটি। নীতিমালায় বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য যৌক্তিক সংখ্যক গাড়ির স্টিকার দেয়া হবে। প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতার আলোকে স্থানীয় প্রশাসন (রিটার্নিং অফিসার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার সমন্বিতভাবে) প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে ভোটকেন্দ্রে গমনাগমনকরত: সংবাদ সংগ্রহের লক্ষ্যে সীমিত পর্যায়ে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র প্রেস আইডির কপি, এনআইডি’র কপি এবং যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হবে সেই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিতে হবে। রিটার্নিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেবেন।