১১ দফা দাবি না মানলে রেমিট্যান্স শাটডাউনের হুঁশিয়ারি প্রবাসীদের

 ১১ দফা দাবি না মানলে রেমিট্যান্স শাটডাউনের হুঁশিয়ারি প্রবাসীদের

প্রথম নিউজ, ঢাকা : কোন প্রবাসীর বিদেশে মৃত্যু হলে রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে মরদেহ আনাসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। দাবি বাস্তবায়ন না হলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

রোববার (১ আগস্ট) সকালে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওমান প্রবাসী কামরুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখলেও প্রবাসীদের দাবি কখনো বাস্তবায়ন হয় না। বিদেশে দূতাবাসগুলো পাসপোর্ট ছাড়া তেমন কোন বিষয়ে ভূমিকা রাখে না। ফলে কোন প্রবাসী মারা গেলেও তাদের কোন প্রকার সহায়তা দেয়না দূতাবাসগুলো। তাই বিগত সময়ের নিয়োগকৃত সব দূতাবাসের কর্মকর্তাকে বাদ দিতে হবে।

আমিরাতে যারা জেলে আছেন তাদের জন্য কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনকে দায়ী করে তিনি বলেন, তার কারণেই প্রবাসীরা জেলে আছে। তিনি তাদের জেলে পাঠিয়েছেন। মূলত দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। অবিলম্বে সেখানে আটককৃতদের কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় মুক্তি দিতে হবে। ১৫ বছর রানিং প্রবাসীরা এককালীন দেশে চলে আসলে তাদের যুক্তিসংগত প্রবাসী অবসর ভাতা দিতে হবে।

একজন প্রবাসী ছুটিতে দেশে এসে কিংবা প্রবাসে কোন কারণে মারা গেলে বা কর্মক্ষেত্রে শারীরিক পঙ্গুত্ববরণ করলে এককালীন তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

প্রত্যেক প্রবাসীর পরিবারকে বিশেষ স্মার্ট কার্ড দিতে হবে। ঐ স্মার্ট কার্ড দ্বারা বাংলাদেশের সরকারী, আধা-সরকারী, বেসরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যেকটি সেক্টরে যেমন: মেডিকেল ট্রিটমেন্ট, ইউনিয়ন অফিস, থানা, সিটি করেপোরেশন, ভূমি অফিস, পরিবহন সেক্টর থেকে শুরু করে সব নাগরিক সেবায় প্রবাসীর পরিবার যেন সুফল ভোগ করতে পারে।

শুধুমাত্র পাসপোর্ট, ভিসা কপি অথবা আকামা কপি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবাসীকে সহজ শর্তে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত বা মালিকানাধীন অন্যান্য ব্যাংক থেকে বিনাসুদে বা সহজ শর্তে হাউজ লোন, ব্যবসায়িক লোন সহ অন্যান্য লোন দিতে হবে। কোন কারণে বাংলাদেশে কোন প্রবাসীর নামে মামলা মোকাদ্দমা হলে তা দ্রুত নিষ্পত্তির বিধি বিধান এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মামলা নিস্পত্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০-১২০ দিন হতে পারে।

প্রবাসে কোনো সমস্যা হলে বাংলাদেশ দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতা করবে। প্রবাসীদের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা সৃষ্টি করতে হবে। অসুস্থ্যতার কারণে কোনো প্রবাসী দেশে আসলে বাংলাদেশের সব সরকারী মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।

প্রতিটা প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রবাসী পরিবারের সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাসী পরিবারের সামাজিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র বা সরকার উপযুক্ত নীতিমালা গ্রহণ করবে।

এয়ারপোর্টে কোন প্রকার লাগেজের ক্ষতি হলে প্রতিটা খালি লাগেজের জন্য ২০ হাজার টাকা ৭ দিনের মধ্যে দিতে হবে। অভিবাসনের ক্ষেত্রে এবং বিদেশ যাত্রায় হয়রানি প্রতিরোধ করতে হবে এবং বিমানবন্দরে জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রবাসীরা বাংলাদেশে আসতে এবং বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে যেসব অনাকাঙ্কিত জটিলতায় পরেন তার স্থায়ী নিরসন করতে হবে।