সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি বিএনপির

শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি বিএনপির

প্রথম নিউজ, অনলাইন: দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরআগে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট এবং হিন্দু মহাজোটের সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। বৈঠকে গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতারা। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এই বৈঠকে অংশ নেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী ও সমাজের শত্রু বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। তারা যতই চেষ্টা করুক না কেন, এই দেশের ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে দীর্ঘকালের যে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি, তা ইচ্ছা করলেই নষ্ট করতে পারবে না। এবারও প্রমাণিত হয়ে যে, শত চেষ্টা করেও আমাদের সৌহার্দ্য ও ঐক্য নষ্ট করতে পারেনি। বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও অঙ্গীকারবদ্ধ, বাংলাদেশে একটা রেইনবো রাষ্ট্র নির্মাণ করে চায়। আমাদের নেতা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেই কথাই বিশ্বাস করেন। 

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার বিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে তারেক রহমান ভিডিও বার্তাই সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। কিছু দিন আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে পরিষ্কার করে বলেছেন যে- ‘প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়- আসুন আমরা প্রেম ও ভালোবাসা দিয়ে একটা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র সমাজ গড়ে তুলি। সামনের দিকে এগিয়ে যাই।

মির্জা ফখরুল বলেন, যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক, উনাদের (সংখ্যালঘু সম্প্রদায়) যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলোতে আমাদের সমস্যা মনে করে অবশ্যই তুলে ধরবো। সমাধানের চেষ্টা করবো। ১৯৭১ সালে যে চেতনায় বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলাম। ২০২৪ সালে এই বিপ্লবের মধ্যদিয়ে সেই চেতনাকে আবার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে একটা রাষ্ট্র নির্মাণ করি। জবাবদিহিতা, সকল ধর্মের, বর্ণের মানুষের অধিকারগুলো নিশ্চিত করি। এটাই আমাদের সামনের দিনের লক্ষ্য।