পেঁয়াজ আমদানিতে আরও শুল্ক কমানোর প্রস্তাব

পেঁয়াজ আমদানিতে আরও শুল্ক কমানোর প্রস্তাব

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে সরকারকে আরও শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। প্রতিষ্ঠানটি পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

       এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর ট্যারিফ কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত সমুদয় নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর।

প্রসঙ্গত, দেশে পেঁয়াজের স্থানীয় চাহিদা ২৬-২৭ লাখ মেট্রিক টন। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন দ্বারা দেশের চাহিদার ৭৫-৮০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হয়।

এদিকে পেঁয়াজ রফতানিতে ভারত সরকার বর্তমানে ২০ শতাংশ হারে রফতানি শুল্কারোপ করেছে। ট্যারিফ কমিশন মনে করে, দেশে প্রয়োজনীয় চাহিদাপূরণ ও ঊর্ধ্বমুখী বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করা আবশ্যক। সে কারণে আমদানি ব্যয় হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা সমীচীন হবে। একইসঙ্গে আমদানি করা পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে প্রবেশের পর বাজার ব্যবস্থাপনায় তা যথাযথভাবে মনিটরিং করারও সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।

জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমদানিতে শুল্কারোপ করা হয়। তবে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার গত ৫ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত সমুদয় নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নেয়। সে অনুযায়ী বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ হারে কাস্টমস ডিউটি আরোপিত রয়েছে।

বর্তমানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর আমদানিতে পেঁয়াজের পাশাপাশি আলুতে ১৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও কীটনাশকে ২০ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছিল।