জনগণ উন্নয়নের পক্ষে, রাস্তায় শোডাউন করে লাভ নেই : খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁর সাপাহার উপজেলা মুক্তমঞ্চে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে উন্নয়ন মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জনগণ উন্নয়নের পক্ষে, রাস্তায় শোডাউন করে লাভ নেই : খাদ্যমন্ত্রী

প্রথম নিউজ, নওগাঁ : বিএনপির সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বিএনপি লুটপাট ও মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। দেশের উন্নয়ন না করে নিজেদের উন্নয়ন করে। তাই মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় শোডাউন করে লাভ নেই। ভোটের মালিক জনগণ। দেশের মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনা তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে উন্নত বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। জনগণ উন্নয়নের পক্ষে থাকবে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা মুক্তমঞ্চে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে উন্নয়ন মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একইসঙ্গে মন্ত্রী তার নির্বাচনী অপর দুই উপজেলা নিয়ামতপুর ও পোরশার উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ এখন পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন। শেখ হাসিনার পরবর্তী টার্গেট স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে। এই পরিকল্পনায় সরকারি দপ্তরগুলোকে স্মার্ট সেবা প্রদানের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকারকে কার্যকর ও শক্তিশালী করেছে। গ্রাম আদালত শক্তিশালী হওয়ায় দেশবাসী হয়রানিমুক্ত সঠিক সেবা পাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সম্মানিত করেছেন। তার দূরদর্শী চিন্তার সুফল ভোগ করছে মানুষ। এখন আর কোনো মানুষ অবহেলিত নয়। প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিডি, ভিজিএফ, বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে অন্তত ১০ হাজার মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার আওতায় এনেছে বর্তমান সরকার।

অনুষ্ঠানে সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সাপাহার উপজেলার দুই ব্যক্তির মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার চেক, ৫০ জন আইজিএ প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা প্রদানের চেক, ছয়টি ইউনিয়নের ১৮০ জন কিশোর-কিশোরীকে গেঞ্জি ও ট্রাউজার, ১২০ জন দরিদ্র মায়ের প্রত্যেককে ৯ হাজার ৬০০ টাকা করে মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ক্রীড়া সামগ্রী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাছের চারা ও মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মন্ত্রী।