প্রথম নিউজ, অনলাইন: বাংলাদেশকে আপদ বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া অন্য কোন বিকল্প পথ নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, আমরা যেটি চাই। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাস্তায় নামতে পারি। আমরা যে জায়গায় পৌঁছেছি আর ১০ শতাংশ কাজ যদি করতে পারি তাহলে বাংলাদেশ থেকে এ আপদ বিপদ দূর হবে।
বুধবার (১৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল মতীন এর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে 'ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, আমরা একটা জায়গায় আটকে গেছি। ছাত্র, যুব, কৃষক রাজনীতিতে কে কোন পোস্ট নেব এটা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমার মনে হয় ছাত্ররা স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে, শ্রমিকরা বস্তিতে, কৃষকরা কুঠিরিতে থাকতে পারতাম তাহলে আমাদের আন্দোলনটা অনেক আগেই সফল হতো। আন্দোলন করতে চাচ্ছি ঘরের মধ্যে অথবা পালিয়ে থেকে। আন্দোলন করতে চাচ্ছি ছোট ছোট রুমের মধ্যে বক্তৃতা করে। আমার মনে হয় আমরা তখনই সফল হব একে অপরের দোষারোপ না করলে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল এখন বিএনপি আমি সেই দলের লোক হিসাবে বলছি না। আমি যদি সার্বক্ষণিক বিএনপিকে নিয়ে সমালোচনা করতে থাকি, ছোট করতে থাকি, তাহলে লড়াইটা কাকে নিয়ে করব? বর্তমানে এমন কোন বিরোধী দল নাই যে যারা নির্যাতনের শিকারে অতিষ্ঠ হয়নি। পঙ্গু হয় নাই। ধ্বংসের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। ৫০ লক্ষ মানুষ আসামি, ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মামলা শুধুমাত্র বিরোধী রাজনীতি করার কারণে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মাওলানা মতিনকে তখনই আমরা শ্রদ্ধা জানাতে পারব যখন এই গণবিরোধী, ফ্যাসিবাদ সরকারকে বিদায় জানাতে পারবো। কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ মানুষের সাধারণ জীবন যাপন ফিরিয়ে আনতে পারব। মানুষের মতো বাঁচার অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারব। বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল মতীনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, মাওলানা আব্দুল মতিন ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম গুরুধর ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। আমি তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, প্রধান আলোচক নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোঃ আবদুস সালাম, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল, ডেইলী নিউনেশন সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মোঃ ফারুক হোসাইন, গণফোরামের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, এডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।