‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা তৈরি করা হলে পরিণাম ভয়াবহ হবে’

তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের বর্ধিত সভায় হুঁশিয়ারী

‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা তৈরি করা হলে পরিণাম ভয়াবহ হবে’
‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা তৈরি করা হলে পরিণাম ভয়াবহ হবে’

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: সংশয়, স্পর্শকাতরতার অজুহাতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা তৈরি করা হলে এর পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর টাউন হলে থামাও ভাঙ্গন, থামাও কান্না, বাঁচাও তিস্তা, বাঁচাও নদী স্লোগানে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ দ্রুত শুরু করার দাবিতে পরিষদের বর্ধিত সভায় এই হুঁশিয়ারী দেয়া হয়। পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য গেরিলা লিডার শফিকুল ইসলাম কানু, সাদেকুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, মোজাফফর হোসেন, বখতিয়ার হোসেন শিশির, আমিন উদ্দিন বিএসসি, মাহমুদ আলম, মশিয়ার রহমান, আবদুন নুর দুলাল, মুনশী সাজু, জাসদের সভাপতি সাখাওয়াত রাঙ্গা, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক অশোকর সরকারসহ তিস্তা অববাহিকার পাঁচ জেলার নদীপাড়ের ভুক্তভোগী প্রতিনিধিরা। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ হক্কানী বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত তিস্তা অববাহিকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনার সমীক্ষা প্রস্তাবে অর্থায়ন ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য চীনা সরকারের কাছে পাঠিয়েছেন। তিনি সরজেমিন পরিদর্শন করে দেখেছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ এই মহাপরিকল্পনা চায়। এই খবরে তিস্তার ঘরে ঘরে আনন্দের জোয়ার বইছে। তারা অপেক্ষায় আছেন কবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। ইতোমধ্যেই এই মহাপরিকল্পনা নিয়ে কথিত নানা সংশয়ের কথা বলা হচ্ছে। স্পর্শকাতর বিষয়ের কথাও বলা হচ্ছে। তিস্তা পাড়ের মানুষ এই সংশয় কিংবা স্পর্শকাতরের কথা বিশ্বাস করে না। আমরা চেয়েছি নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হোক। যদি চীন অর্থ ও কারিগরি সহযোগিতা দেয়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কোনোভাবেই যেন এই প্রকল্প বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্যই এই বর্ধিত সভা। এর মাধ্যমে আমরা নভেম্বরের মাঝাবাঝি একটি মহাসমাবেশ করবো। এর মাধ্যমে আমরা আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে চাই। এর মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে দ্রুত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানাই। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এখানকার উন্নয়ন বৈষম্য ঘুচবে। নদী ভাঙ্গন কমবে। কৃষির উন্নয়ন হবে। নবায়িত জ্বালানির উদ্ভব ঘটবে। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন-বঞ্চনা দূরিভূত হবে। নতুন আলোর পথ উন্মোচিত হবে।

তিনি বলেন, এই প্রকল্প নিয়ে অনেকেই নানাভাবে নানা জায়গায় অপ্রপচার করছেন। অনেক পরিবেশবাদী নানাভাবে অপপ্রচার করছে যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তিস্তার বৈচিত্র্য নষ্ট হবে। নদী থাকবে না। আমরা মনে করি, এ ধরনের নানা অপপ্রচারের মাধ্যমে এই মহল এই প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার ষড়যন্ত্র করছে। এই অপপ্রচারের আমরা জবাব দিতে চাই তিস্তাপাড়ের মানুষের শক্তি দিয়ে। এর আগে তিস্তা আন্দোলন বিষয়ক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অধ্যাপক মোজাহার আলী।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom