ঢাকায় সিঙ্গাপুর হাই কমিশন উদ্বোধন

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত এক জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন হাই কমিশন চালুর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

ঢাকায় সিঙ্গাপুর হাই কমিশন উদ্বোধন

প্রথম নিউজ, অনলাইন: সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের উদ্বোধন হলো ঢাকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত এক জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন হাই কমিশন চালুর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই যে দেশগুলো স্বীকৃতি দিয়েছিল তাদের মধ্যে সিঙ্গাপুর অন্যতম। এক্ষেত্রে, এশিয়ার মধ্যে সিঙ্গাপুর ছিল চতুর্থ। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুরের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। ঢাকায় নতুন হাই কমিশনের মাধ্যমে  বিদ্যমান বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বেগবান হবে। অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) এ বাংলাদেশের সদস্য পদ লাভে তিনি দেশটির সহযোগিতা কামনা করেন। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার গুরুত্বও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ডেরেক লোহে, হাছান মাহমুদ এবং অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন কেক কেটে হাইকমিশনের নবযাত্রার শুভ সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ব্রুনাই, লিবিয়া, শ্রীলঙ্কা, নরওয়ে, ভিয়েতনাম, মিয়ানমান, সুইডেন, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, নেপালের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার ছাড়াও রাশিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইড লাইনে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণা দিয়েছিল সিঙ্গাপুর। সেদিন বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণন। ড. মোমেন ওই বৈঠক থেকে ঢাকায় সিঙ্গাপুরের পূর্ণাঙ্গ মিশন স্থাপনের জন্য সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানালে তিনি ঢাকায় তাদের কনস্যুলেটকে হাইকমিশনে উন্নীত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন।