শেখ হাসিনা রেহানা সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ ৯৭ জনের নামে হত্যা মামলা
উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চুড়ালী গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে কৃষক দলনেতা আবুল কাশেম কৃষক বাদী হয়ে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌরীপুর আমলি আদালতে এ মামলা করেন।
প্রথম নিউজ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনজন নিহতের ঘটনায় মঙ্গলবার আরেকটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহেনা, সাবেক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুরের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি, ময়মনসিংহ-৪ সদরের সাবেক এমপি মোহিত উর রহমান শান্তসহ ৯৭ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চুড়ালী গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে কৃষক দলনেতা আবুল কাশেম কৃষক বাদী হয়ে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌরীপুর আমলি আদালতে এ মামলা করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন খান, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মুনতা মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সোমনাথ সাহা, মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রমিজ উদ্দিন স্বপন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি, ২নং গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন জুয়েল, সিধলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন, সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন কাদের রুবেল, গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শফিকুল ইসলাম হবি, গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাওহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল কাদির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইকরাম হোসেন মামুন, সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল আওয়াল, গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এ্যাসাইনমেন্ট অফিসার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীর আহমেদ রাজীব, ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ডৌহাখলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সরকার, সহসভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক ফকির, পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মিথুন, ডৌহাখলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রাফজান জনি অভি, সাবেক সহসভাপতি নাজিমুল ইসলাম শুভ, বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মুক্তাদির শাহিন, পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তমাল পাঠান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক স্বাধীন, সিধলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তোফায়েল, পৌর যুবলীগের সদস্য সৈয়দ জুয়েল, সৈয়দ রাসেল, পশ্চিম দাপুনিয়ার মৃত আজিবুর ইসলাম আফ্রিদি হাসান হিরা, সতিষার মৃত মজিবুরের ছেলে সুমন মিয়া, উজ্জল সরকার, আব্দুল হেলিম, আব্দুল হেলিম, নাজমূল হক, বুলেট সোহাগ, সাব্বির হাসান অমিত, মুসলেম উদ্দিন, নয়ন মিয়া, বোকাইনগরের ভিপি বাবুল, হাবিবুর রহমান, আনিসুর রহমান বাদশা, লিটন সরকার, মাহবুবুর রহমান সাদ্দাম, আমজাদ আলী, রফিক মিয়া, রোকন মিয়া, হেলাল মিয়া, সৈয়দ কামাল মেম্বার, ইনছান মিয়া, ফরিদ উদ্দিন, আবির, কিরন, ইউনুছ, সাইফুল ইসলাম খান, সবুজ খা, এনামুল, সিরাজ মিয়া, রনি, হারুন মিয়া, নাজিম উদ্দিন, শাহিন, তুহিন, হোসেন, আহম্মদ মাস্টার, শাকিল, শিহাব, ফয়সাল, আব্দুল কদ্দুস মুন্সি, সুমন সরকার, রফিকুল ইসলাম, বাবু, রফিকুল খা, তুষার, মোস্তফা, তোফায়েল, আব্দুল মোতালেব, মঞ্জুরুল মেম্বার, ওমর ফারুক, আতিকুর রশিদ লিটন (৩৮), মো. বাচ্চু মিয়া, আব্দুল করিম, মুহসিন মিয়া, সাজ্জাদ, এমদাদ, ফেরদৌস, চান খানসহ অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে একই ঘটনায় উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম আকন্দ বাদী হয়ে রোববার ময়মনসিংহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌরীপুর আমলি আদালতে এ মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (৭৬), তার বোন শেখ রেহানা (৭০), সাবেক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (৭২), সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ (৭৫) ৬৪ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উপজেলার কলতাপাড়া বাজারে উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চুড়ালী গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার ছেলে বিপ্লব হাসান, মইলাকান্দা ইউনিয়নের পূর্বকাউরাট গ্রামের জোবায়ের আহম্মেদ ও রামগোপালপুর ইউনিয়নের দামগাঁও গ্রামের নুরে আলম সিদ্দিকী রাকিব। এছাড়া ছাত্র-জনতা ও পুলিশসহ উভয়পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হন। বিগত ২০ জুলাই শনিবার এ ঘটনা ঘটে। নিহত ৩ জনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে পরিবার।