মাইগ্রেন দূর করার জন্য যেসব খাবার খাবেন
প্রথম নিউজ, লাইফস্টাইল ডেস্ক: মাইগ্রেন সহ্য করা কঠিন। এই সমস্যা শীতের সময়ে আরও তীব্র হয়। মাইগ্রেন হলে আলো ও শব্দ সহ্য হয় না, এমনকী বেশি দেখা দিতে পারে বমির মতো সমস্যাও। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। এ ধরনের ব্যথা হলে তখন বাকিসব কাজ করা মুশকিল হয়ে যায়। মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকার জন্য নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে খাবারের দিকেও। চলুন জেনে নেওয়া যাক মাইগ্রেন দূর করার জন্য কোন খাবারগুলো খাবেন-
১. দানাশস্য ও বাদাম: মাইগ্রেন দূর করার জন্য খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন বিভিন্ন দানাশস্য ও বাদাম। কারণ এ ধরনের খাবারে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ যেকোনো খাবার মাইগ্রেন কমাতে সাহায্য করে। ফ্ল্যাক্সসিড, সিয়া সিড, কাজু বাদাম- এ ধরনের খাবার ম্যাগনেসিয়ামে ভরা। প্রতিদিনের খাবারে এগুলো থাকলে মাইগ্রেনসহ অন্যান্য মাথাব্যথাও দূর হবে সহজে।
২. হার্বাল টি: শরীর যদি হাইড্রেটেড থাকে তাহলে মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যেসব খাবার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে সেগুলো মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন হার্বাল টি। কারণ এটি আপনাকে এই কাজে সাহায্য বরবে। ফ্লেভারড টিয়ের মধ্যে পিপারমিন্ট টি। এটি মাইগ্রেন উপশমে সহায়ক হবে।
৩. টকদই: যেসব খাবার আমাদের শরীরের জন্য উপকারী তার মধ্যে একটি হলো টকদই। এটি নানাভাবে শরীর ভালো রাখে। অনেক সময় গ্যাসের কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। এক্ষেত্রে মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকার জন্য খেতে পারেন টক দই। এতে আপনার পেট ভালো থাকবে এবং শরীরও হাইড্রেটেড থাকবে। সেইসঙ্গে দূর হবে মাইগ্রেনও।
৪. ফল ও সবজি: নিয়মিত তাজা ফল ও সবজি খাওয়ার অনেক উপকারিতা। এতে থাকে নানা ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি। নিয়মিত সবজি ও ফল খেলে কমে মাইগ্রেনের সমস্যা। সেইসঙ্গে শরীরও সুস্থ থাকে। ভালো থাকে পেটের স্বাস্থ্য। তাই প্রতিদিনের তিনবেলার খাবারেই যোগ করতে পারেন নানা রকম ফল ও সবজি। এতে সুফল পাবেন দ্রুতই।
৫. মাছ: মাইগ্রেন থেকে বাঁচতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। বিশেষ করে সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছে থাকে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদান ইনফ্লেম্যাশন কমাতে সাহায্য করে। মাছ ও সামুদ্রিক অন্যান্য খাবারে থাকা প্রোটিন ও উপকারী ফ্যাট মাইগ্রেনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। সেইসঙ্গে শরীরে পৌঁছে দেয় প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টিও।