বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব বাড়ছে, দ্রুত গলছে অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরের বরফ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার (এনএসআইডিসি) জানিয়েছে যে অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রের বরফ এই সপ্তাহে ১.৯১ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার কমেছে, যা ১৯৭৯ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন মাত্রা।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: বরফ দ্বারা আচ্ছাদিত অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরের বরফ রেকর্ড হারে গলছে। যার প্রভাব পড়ছে মহাসাগরের বুকে ভেসে বেড়ানো বিশাল হিমশৈলগুলির ওপর। বিজ্ঞানীরা উষ্ণ তাপমাত্রাকে এর জন্য দায়ী করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার (এনএসআইডিসি) জানিয়েছে যে অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রের বরফ এই সপ্তাহে ১.৯১ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার কমেছে, যা ১৯৭৯ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন মাত্রা। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, মেরুসমুদ্রের বরফ গলে যাওয়ার এই ঘটনা বিশ্ব উষ্ণায়নের গতিতে ত্বরাণ্বিত করতে পারে বলে আশঙ্কা। এনএসআইডিসি একটি বিবৃতিতে বলেছে- 'বরফ গলার মরসুম শেষ হতে সম্ভবত আরও কয়েক সপ্তাহ বাকি আছে, সেই সময়ের মধ্যে এ বারের রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
'সামুদ্রিক বরফ গলে যাওয়া সমুদ্রপৃষ্ঠের উপর কোন স্পষ্ট প্রভাব ফেলে না কারণ বরফ ইতিমধ্যেই সমুদ্রের জলে রয়েছে। কিন্তু সামুদ্রিক বরফ অ্যান্টার্কটিকার বিশাল বরফের স্তরকে বেঁধে রাখে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে হিমবাহ গলে যেতে থাকলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে যা ডেকে আনবে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। অ্যান্টার্কটিক চক্র গ্রীষ্মকালে এবং শীতকালে উল্লেখযোগ্য বার্ষিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়।
মহাদেশটি গত চার দশকের দ্রুত গলন অনুভব করেনি কিন্তু এখন গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে গ্রীনল্যান্ড এবং আর্কটিকের বরফ দ্রুত গলছে। ২০১৬ সাল থেকে বরফ গলার এই হার উদ্বেগ তৈরী করেছে বিজ্ঞানীদের মনে। কারণ, জমাট বাঁধা বরফের স্তূপের সাদা উপরের স্তর সূর্যের রশ্মির ৯০ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিফলিত করে আকাশে ফেরত পাঠায়। ফলে ভূপৃষ্ঠ ঠান্ডা থাকে। কিন্তু তা গলে সমুদ্রের জলে পরিণত হলে তাপমাত্রা শোষণ করে। ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ে।আগের রেকর্ডটি তৈরি হয়েছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে, যখন অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরে ভাসমান বরফের এলাকা প্রথমবারের মতো দুই মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারের নিচে নেমে আসে। গত সপ্তাহে, ইউরোপের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট মনিটর (C3s) জানিয়েছে যে জানুয়ারিতে বরফ গলার পরিমাণ ইতিমধ্যেই রেকর্ড তৈরী করেছে। বিশ্বব্যাপী, প্রাকৃতিক লা নিনা -র শীতল প্রভাব সত্ত্বেও গত বছর রেকর্ড উষ্ণতার সাক্ষী ছিলো বিশ্ব।
সূত্র : এনডিটিভি
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: