মোদির মন্ত্রিসভায় অসন্তোষ, যা বলছেন শরিকরা

ক্ষমতা ভাগাভাগির ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে বিজেপির দীর্ঘদিনের মিত্র শিবসেনা।

মোদির মন্ত্রিসভায় অসন্তোষ, যা বলছেন শরিকরা

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক:ভারতের নতুন মন্ত্রিসভার বণ্টন নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে সাত দফায় ভোট গ্রহণের পর গত ৪ জুন ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় শরিকদের হাত ধরে এবার জোট সরকার গঠন করতে হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। জোটের শরীকদের ১১টি মন্ত্রণালয় দিয়েছেন মোদি। তবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো নিজের কাছেই রেখেছেন তিনি। এ বণ্টন নিয়েই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে। ক্ষমতা ভাগাভাগির ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে বিজেপির দীর্ঘদিনের মিত্র শিবসেনা। মন্ত্রিসভায় কোনো পদ না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শিবসেনা। 

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদির মন্ত্রিসভায় কোনো মন্ত্রীর পর পায়নি শিবসেনা। শুধু একটি প্রতিমন্ত্রী পদ পেয়েছে মহারাষ্ট্রের দলটি। এ বিষয়ে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন দলের শীর্ষ নেতা শ্রীরঙ্গ বার্নে বলেছেন, নতুন মন্ত্রিপরিষদে অন্যান্য এনডিএ মিত্রদের শতাংশের ভিত্তিতে আমরা একটি মন্ত্রিসভা আশা করেছিলাম। মন্ত্রিত্ব বণ্টনে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমরা বিজেপির তৃতীয় বৃহত্তম মিত্র। অনেক কম আসন পাওয়া অন্য মিত্ররাও মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আমাদের প্রতি বৈষম্য হয়েছে। 

যদিও দলটির আরেক নেতা শ্রীকান্ত শিন্ডে স্পষ্ট করেছেন, তারা নিঃশর্তভাবেই মোদি সরকারকে সমর্থন করছেন এবং এর সঙ্গে ক্ষমতার জন্য দরকষাকষি বা আলোচনা জড়িত নয়। টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রোববার শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন মোদির সঙ্গে শপথ নিয়েছেন তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, প্রধান চার মন্ত্রণালয়ে গতবারের চারজনকেই রাখা হয়েছে। তবে এ বণ্টন নিয়েই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে।

বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তেলুগু দেশমকে বিমান মন্ত্রণালয় ছেড়ে দিলেও চন্দ্রবাবু নায়ডু এখনও লোকসভার স্পিকারের পদের দাবিতে অনড়। পাল্টা চালে বিজেপি অন্ধ্রপ্রদেশেরই বিজেপি সভানেত্রী ডি পুরন্দেশ্বরীর নাম স্পিকারের পদের জন্য এগিয়ে দিচ্ছে। 

পুরন্দেশ্বরী তেলুগু দেশমের প্রতিষ্ঠাতা এন টি রাম রাও-এর কন্যা। সেই হিসেবে তিনি চন্দ্রবাবুর শ্যালিকা। শ্যালিকার জন্য নিজের দাবি থেকে সরে আসতে পারেন বলে বিজেপি নেতাদের আশা। উল্টো দিকে কংগ্রেসের তরফে চন্দ্রবাবুকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তেলুগু দেশম স্পিকার পদের জন্য প্রার্থী দিলে কংগ্রেস সমর্থন করতে পারে।