প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১১ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন শেখ মেহেদী। ব্যাট হাতে নেমে বাকি কাজটা সেরেছেন তানজিদ হাসান তামিম আর লিটন কুমার দাস। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ৪৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংসে অপরাজিত থাকেন তানজিদ। সিরিজের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দেয়া ১৩৩ রানের লক্ষ্যে ৮ উইকেট আর ২২ বল হাতে রেখেই পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ দল।সীমিত ওভারের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে হারলেও পরের দুই ম্যাচে বড় জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। লঙ্কানদের বিপক্ষে এই সংস্করণে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয় এটি। কলম্বোর প্রেমাদাসায় স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৩২ রানের পুঁজি গড়ে স্বাগতিকরা। প্রথম ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিসকে (৬) তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারের পঞ্চম বলে কুশল পেরেরাকে রানের খাতা না খুলতে দিয়েই সাজঘরের পথ দেখান এই ম্যাচ দিয়েই একাদশে ফেরা শেখ মেহেদী। স্কোরকার্ডে পঞ্চাশ রান যোগ করার আগেই চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরে যায় লঙ্কানরা। দীনেশ চান্ডিমাল (৪) ও অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকেও (৩) তুলে নেন ৩০ বছর বয়সী মেহেদী। আরেক উইকেট আগলে রেখে রান যোগ করতে থাকা ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে নিজেরই ক্যাচ বানিয়ে চতুর্থ উইকেট পূরন করেন এই টাইগার অফ স্পিনার। চার ওভারে স্রেফ ১১ রানের খরচে এটিই মেহেদীর টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। স্বাগতিকদের হয়ে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন নিশাঙ্কা। পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা চালান কামিন্দু মেন্ডিস। তবে ১৫ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে তিনি ফিরে যান শামীম পাটোয়ারীর বলে। সপ্তম উইকেট হিসেবে জেফরি ভ্যান্ডারসেকে সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। পূর্ণ ওভারে এই টাইগার পেসার খরচ করেন স্রেফ ১৭ রান। অপরাজিত ব্যাটার হিসেবে ২৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন দাসুন শানাকা।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসে প্রথম বলেই পারভেজ হোসেন ইমন আউট হলে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। তবে পরের উইকেটে ৭৪ রানের জুটিতে সে চাপ উড়িয়ে দেন তানজিদ ও টাইগার অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ২৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে এই উইকেটকিপার-ব্যাটার আউট হলে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে বাকি কাজটা সেরে ফেলেন তানজিদ। ৬ ছক্কা আর ১ চারে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ২৫ বলে ২৭ রান করে জয়ে অবদান রাখেন হৃদয়ও। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ম্যাচসেরা শেখ মেহেদী। আর পুরো সিরিজে ১১৪ রান করা লিটন সিরিজসেরা। ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় অর্জন। এর আগে এখানে সিরিজ জিতিনি। এই জয় বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করবে।
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৩২/৭ (নিশাঙ্কা ৪৬, শানাকা ৩৫*, কামিন্দু ২১; মেহেদী ৪/১১, শামীম ১/১০, মোস্তাফিজ ১/১৭, শরীফুল ১/৫০)
বাংলাদেশ: ১৬.৩ ওভারে ১৩৩/২ (তানজিদ ৭৩*, লিটন ৩২, হৃদয় ২৭*; কামিন্দু ১/২১, তুশারা ১/২৫)
ফল: ৮ উইকেটে জয়ী বাংলাদেশ
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ২–১ ব্যবধানে জয়ী বাংলাদেশ