ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে রোগ ছড়ানোর মূল সূত্র খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন কিভাবে ব্রেস্ট ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে, যা রোগটির প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার ধরন পাল্টে দিতে পারে। স্কটল্যান্ডের গবেষকরা দেখতে পান, ক্যান্সার বিশেষ কিছু ইমিউন কোষের মেটাবলিজম (শক্তি উৎপাদন ও ব্যবহার প্রক্রিয়া) বদলে দেয়। এ সময় এসব কোষ ইউরাসিল নামের একধরনের প্রোটিন নিঃসরণ করে, যা ক্যান্সার কোষের জন্য অন্য অঙ্গে বৃদ্ধির একপ্রকার ‘স্ক্যাফোল্ড’ হিসেবে কাজ করে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।
বিজ্ঞানীরা এ জন্য ইদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন। সে সময় তারা ইউরাসিল-নির্ভর স্ক্যাফোল্ড তৈরি ঠেকাতে সক্ষম হন। ফলে ইমিউন সিস্টেম আবার সক্রিয় হয়ে সেকেন্ডারি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং ক্যান্সার ছড়ানো বন্ধ হয়। গবেষকরা ইউরিডিন ফসফরাইলেজ-১ (ইউপিপি১) নামের একটি এনজাইম ব্লক করে এই প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তাদের আশা, রক্তে ইউরাসিল শনাক্ত করে ক্যান্সার ছড়ানোর প্রাথমিক ইঙ্গিত ধরা সম্ভব হবে এবং ইউপিপি১ ব্লকার ওষুধের মাধ্যমে রোগের বিস্তার রোধ করা যাবে। এই আবিষ্কারের ফলাফল এমবো রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণার প্রধান লেখক ডা. ক্যাসি ক্লার্ক বলেন, ক্যান্সার ছড়ানো ঠেকাতে আমরা নতুনভাবে ভাবতে শুরু করেছি। প্রাথমিক পর্যায়েই মেটাবলিক পরিবর্তন টার্গেট করে অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের গবেষণা পরিচালক ডা. ক্যাথেরিন এলিয়ট বলেন, মেটাস্টেসিস (ক্যান্সারের বিস্তার) ব্রেস্ট ক্যান্সারকে মারাত্মক করে তোলে। এই আবিষ্কার আমাদের নতুন আশা দিচ্ছে রোগ ছড়ানো রোধে। গবেষকরা এখন এই প্রক্রিয়াকে লক্ষ্য করে নতুন ওষুধ পরীক্ষা করছেন, যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ছাড়াও অন্যান্য ক্যান্সারের বিস্তার ঠেকাতে কাজে লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, বৃটেনে প্রতি বছর প্রায় ১১,৫০০ নারী এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৪২,০০০ মানুষ ব্রেস্ট ক্যান্সারে মারা যান। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে বৃটেনে এ মৃত্যুহার ৪০ ভাগ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।

